বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো ফরিদ এবার দুর্বৃত্তের হামলায় আহত

চব্বিশের জুলাইয়ে ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো ফরিদ শেখ (১৭) এবার নিজ গ্রামে হামলার শিকার হয়েছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের গোপেরহাট এলাকায় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে একদল দুর্বৃত্ত।
আহত ফরিদ শেখ বর্তমানে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার টোনা গ্রামের ইলিয়াস শেখ ও ছালমা বেগম দম্পতির পালিত সন্তান।
এ ঘটনায় সোমবার (৭ এপ্রিল) পিরোজপুর সদর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ফরিদের মা ছালমা বেগম।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, রাজারকাটি গ্রামের নাসির কাজির ছেলে রাকিব কাজি, মোতাহার কাজির ছেলে নাজির কাজী, শহিদ হাওলাদারের ছেলে রুপম হাওলাদার, সিদ্দিক শিকদারের ছেলে শাকিল শিকদার এবং শাকিল শিকদারের ছেলে সিয়াম শিকদার।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোজার মাসে একদিন মসজিদে বসে কথা কাটাকাটির জেরে ফরিদের সঙ্গে প্রথম আসামি রাকিব কাজির বিরোধ তৈরি হয়। সেসময় স্থানীয় মুসল্লিরা বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও, রাকিব ক্ষোভ পোষণ করে আসছিলেন। ওই বিরোধের জের ধরেই রোববার রাতে গোপেরহাট এলাকায় একা পেয়ে অন্য আসামীদের সঙ্গে নিয়ে ফরিদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, “ঢাকায় আন্দোলনে চোখ হারানো ফরিদ শেখকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
What's Your Reaction?






