বোয়ালমারীতে কার্বন ফাক্টরি বন্ধে সরগরম হতে যাচ্ছে স্থানীয় এলাকা বাসি' পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পরিবেশ বাদিরা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগরে (চরকোল) ছাইকল কারখানা নিয়ে ফের সরগরম হতে যাচ্ছে স্থানীয় এলাকা বাসি। কারখানা দুটি বন্ধে আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি আইনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন পরিবেশ বাদিরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর এলাকার গ্রামে আবাসিক এলাকায় ও কৃষি জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে চারকোল কারখানা (পাটকাঠির ছাই থেকে কার্বন তৈরির কারখানা)। ছাই ও কালো ধোঁয়ায় মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
আর এ পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর।
শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। একই কারণে কমছে ফসলি জমির উৎপাদনও। প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ ও মানববন্ধন করে ছিলেন এলাকাবাসী, ,এতে প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।।
কিন্তু অবৈধ ভাবে হিরু মুন্সি নামে এক সৈরাচারী দোসর আওয়ামিলীগ নেতা,(চারকোল) ছাই কলটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চারকোলটি জরিমানা সহ সিল গালা করলেও পরিবেশের তোয়াক্কা না করে চালু রেখেছেন মিলটি। এর আগে হিরু মুন্সির অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা শিশা কারখানাটি জরিমানা সহ সিল গালা করে দেন প্রশাসন।
এব্যাপারে বেলায়াত শেখ বলেন, আইনি প্রতিক্রিয়ায় ছাইকল বন্ধ করে দেয়া হোক, ছাইকল কারখানার কারনে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বায়ুদূষণে ক্ষতি হচ্ছে, ফসলের মাঠে ফসল ভালো না হওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক।
খন্দকার শাহাজাহান বকুল বলেন, আগে প্রতিবাদ করতে দেখেছি, প্রতিবাদকারীরা পরে নিরব হয়েছে কেন। হয়েছে কিভাবে জানা নেই। তবে ফ্যক্টরির মালিকের একটা
বা----- ছেঁড়া যায়নি।
উপজেলা আ'লীগ নেতা (চারকোল) ছাইকল মালিক হিরু মুন্সি ফোনে প্রতিবেদককে বলেন, কোন শা----- কি বলেন, পিট মোড়া দিয়ে বেঁধে রেখে আমাকে খবর দিয়েন।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহি অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন,(চারকোল) ছাইকল কারখানায় সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।
What's Your Reaction?






