ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবির)
ওসি (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিষ্ণুপুর গ্রামের আবু হারুন ভুঁইয়ার ছেলে সাবেক সেনা সদস্য মামুন ভূইয়ার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু সুমন মিয়া, তাহের মিয়া, জাহের মিয়া, আনিছ মিয়া, মানিক মিয়া, হানিফ মিয়া গংদের বিরুদ্ধে ওসি শহীদুল ইসলাম বিজয়নগর থানার ওসি থাকাকালীন সময়ে গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে বাদী মামুন ভূঁইয়া একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওসি শহীদুল ইসলাম তাকে আশ্বস্ত করে বিষয়টা আমি দেখবো। অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী মামুন ভূঁইয়ার বক্তব্য মতে, আমার কাছে ওসি শহীদুল ইসলাম এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করলে, আমি উনাকে ৮০,০০০ আশি হাজার টাকা দেই। কিন্তু আমি কোনো সুবিচার ওনার কাছে পাইনি। উল্টো ওসি শহীদুল ইসলাম আমার প্রতিপক্ষ হানিফ মিয়া গংদেরকে আমার নামে মিথ্যা মামলা করার প্ররোচনা দেয়। ৪ নভেম্বর আমার প্রতিপক্ষ মামলা করতে না করতেই একই ৪ নভেম্বর তারিখেই আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে দেয়। তারা মামলা করেও পারেনি, ওসি শহীদুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়ে দিলো এটা কিভাবে সম্ভব? আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষরা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- সি, আর ৩৯৯/২৪। তারা আমার গাছ কেটে নিয়ে গেলো, আমার উপর হামলা করলো, আমি ভিডিও করতে গেলে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে গেলে চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নূরনবী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আমার মোবাইলটি উদ্ধার করে দেয়, এবং উনি ঘটনাস্থলে সবকিছুই দেখেছে। এতো কিছুর পরও ওসি শহীদুল ইসলাম আমার প্রতিপক্ষের সাথে যোগসাজস করে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন আদালতে দিয়ে দেয়। আমি এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি ওসি শহিদুল ইসলাম কর্তৃক এই জুলুমের ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক বিজয়নগর থানা ও বর্তমান (ডিবির) ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, যদি এক টাকাও নিয়ে থাকি হারাম হবে আমার জন্য। গাছ কেটে নিয়ে গেছে, বি এন পি করে আমি কিছুই বলিনি। মিথ্যা প্রতিবেদনের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, ৪ নভেম্বর না, আমি ৫ নভেম্বর প্রতিবেদন দিয়েছি।