ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তার এ ঘটনায় মঙ্গলবার সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ তার দুই ভাসুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী হায়দার আলীর স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে পারিবারিক নানা বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। সোমবার বিকেলে পারিবারিক তর্কের একপর্যায়ে শারমিনকে মারধর করে একটি নারিকেল গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে অভিযুক্তরা। একইসঙ্গে তার দুই সন্তানকেও মারধর করা হয়।
এ সময় এক প্রতিবেশী মোবাইল ফোনে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে শারমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিপন মিয়া গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
শারমিন আক্তার বলেন, “আমার স্বামীর কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুই লাখ টাকা নিয়েছিল, যা ফেরত দেয়নি। সোমবার আমি স্বামীর অনুমতি নিয়ে অন্যত্র বাসা নেওয়ার কথা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে ও গাছে বেঁধে রাখে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দুই ভাসুরসহ সাতজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”
অভিযুক্তদের একজন শ্বশুর মন্তাজ মিয়া বলেন, “শারমিন প্রায় সময় ঘরে তালা দিয়ে বাইরে চলে যায়। একদিন সে আমাকে মারধর করেছিল, এরপর থেকেই সমস্যা শুরু।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, “পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে, বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।”
What's Your Reaction?






