ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় দুটি পরিবহনের দুই ড্রাইভার নিহত ও অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা ও মালিগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ভাঙ্গা- মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২০ মিনিট ধরে প্রায় ৫ কি.মি ব্যাপী রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বুধবার সকাল দশটার দিকে মহাসড়কের পুলিয়া বাজার এলাকায় একজন এবং বেলা সাড়ে ১১ টার সময় ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় একজন সহ পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো - কভারভ্যানের ড্রাইভার মিরাজ হাওলাদার পিতা- দুলাল হাওলাদার, থানা- বানারীপাড়া, জেলা-ঝালকাঠি ও ইমদাদ হোসেন পিতা অজ্ঞাত, গ্রাম - সোনাতলা, থানা- শরণখোলা, জেলা-বাগেরহাট।
এ ব্যাপারে শিবচর হাইওয়ে থানার এস,আই আশিকুজ্জামান জানান, ভাঙ্গা উপজেলার হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুই ড্রাইভার নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার সময় ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার এক্সপ্রেসওয়েতে একটি আরএফএল কোম্পানির কভারভ্যান এক্সপ্রেসওয়েতে দাড় করিয়ে ড্রাইভার নিচে নেমে কথা বলছিলেন। তখন ঢাকা থেকে নড়াইলগামী নড়াইল এক্সপ্রেস নামের একটি পরিবহন এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামানোর জন্য গাড়িটি থামায়। এরপর ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী হামিম পরিবহনের আরো একটা বাস পিছন থেকে আর,এফ,এল কোম্পানির কভারভ্যান সহ ড্রাইভার ও নড়াইল এক্সপ্রেস নামক পরিবহনটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দাড়িয়ে থাকা কভারভ্যানের ড্রাইভার ইমদাদ হোসেন গাড়ীর নিচে চাপাঁ পড়ে নিহত হয় এবং নড়াইল এক্সপ্রেস ও হামিম পরিবহনের আরও ২০ যাত্রী আহত হয়। দুর্ঘটনার পর হামিম পরিবহনের বাসটিকে আটক করা হয়েছে ও ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।
এছাড়া পৃথক ঘটনায় সকাল ১০টার সময় পুলিয়া এলাকায় হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি কভারভ্যান আরেকটি কভারভ্যানকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় পিছনের কভারভ্যানের ড্রাইভার মিরাজ হাওলাদার নিহত হয়।
পৃথক দুর্ঘটনায় দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।