ভাঙ্গায় আ'লীগ পরিবারের জুলুম-অত্যাচার ও কুকীর্তির প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শাহ মল্লিকদী গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দুই সন্তানের সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জুলুম-অত্যাচার ও কুকীর্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গ্রামের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পীরেরচর গ্রামীণ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজীজ টুকু মোল্লার ছেলে, জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি ফয়সাল মোল্লা ও তার ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনি মোল্লা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দস্যুতা ও মাদক কারবারের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, এই দুই ভাই গ্রামে লতিফ মুন্সী ও দেলোয়ার মুন্সীকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। মামলা দায়ের হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগীদের মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পরও ফয়সাল মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নানা হুমকি-ধামকির পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, পিতার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে দুই ভাই আবুল ফয়সাল মোল্লা ও মনি মোল্লা সাবেক এমপি কাজী জাফর উল্লাহ ও নিক্সন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেন। তারা মাদক ব্যবসার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন।
মানববন্ধনে রুবেল মোল্লা, ইকরাম মোল্লা, মাহাবুব ও তৈয়ব মুন্সীসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজীজ টুকু মোল্লা বলেন, "আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে—এটা সত্য। তবে আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।"
What's Your Reaction?






