ভাঙ্গায় জব্দকৃত বালু টেন্ডারকে কেন্দ্র করে হামলাঃ ফাকাঁ গুলি, বিএনপির ৪ নেতা- কর্মী আহত- এলাকায় চরম উত্তেজনা-পুলিশ মোতায়েন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নদী থেকে তোলা জব্দকৃত বালু টেন্ডারকে কেন্দ্র করে হামলা ও ফাঁকা গুলির ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় বিএনপির চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চরমুগডোবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলে প্রকাশ।
হামলার ঘটনায় আহতরা হলো, ঢাকা বাংলা কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেয়ান জমাদার (৩০), বিএনপির কর্মী কাওছার হোসেন(৪০), আব্দুর রহমান (৪০) ও কুদ্দুস জমাদ্দার (৫০)।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে , গত মাসে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ৫ লক্ষ ঘণফুট বালু উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুল ইসলাম খাঁন রিপন ও বিএনপির নেতা রবিউল জমাদার । সে সময় উক্ত বালু তৎকালীন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জব্দ করেন। সেই জব্দকৃত বালু আজ মঙ্গলবার সকালে টেন্ডারের নামে অনেকটা চুপিসারে উপজেলা প্রশাসন মাত্র ৩ লাখ ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেন । পরে টেন্ডার করতে আসা রিপন খাঁ সহ উপজেলার কিছু বিএনপির নেতা কর্মী উপস্থিত হন। এ সময় আ-লীগ নেতা রিপন খাঁ ও তার লোকজন বিএনপির নেতা- কর্মীদের আটকে রেখে মারধর ও এবং ভীতি সঞ্চাচের জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আড়িয়ালখাঁ নদীর পাড়ে জব্দকৃত ৩ লাখ ঘনফুট বালু কাওলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বসে ৩ লাখ ৭ হাজার টাকায় টেন্ডার দেওয়া হয়। আমরা সরেজমিনে আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে জব্দকৃত বালু পরিদর্শনে যাই। সেখানে রিপন খাঁ ও তার লোকজন বিএনপির কয়েকজনকে আটকে রেখে মারধর করে। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এস, আই মামুন জানান, কাওলিবেড়া ইউনিয়নের চরমুগডোবা এলাকার একটি টেন্ডার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় জব্দকৃত বালু টেন্ডারের বিজয়ী ফরিদপুর জেলা বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক রবিউল হাসান রনি জানান, আমি টেন্ডারের বিজয়ী হওয়ার পর আ-লীগ নেতা রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন খাঁ ও তার লোকজন আমার নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও গুলি করে। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল, ৪টি মোবাইল ও কিছু টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা রাতে মামলা করবো।
What's Your Reaction?