ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই দলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষঃ আহত- ১০
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামে পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে সাধু মাতুব্বর ও মিরাজ ফকির গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদেরকে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় থনথম অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন চুন্নু শিকদারের ছেলে শিপন শিকদার (৩৫), মৃতঃ আবদুল গফ্ফারের ছেলে নুরু ইসলাম শেখ (৪৫) এবং রোমান ফকির (২৭)। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর জখম হওয়া যুবক শিপন শিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম রয়েছে।
এদিকে সংঘাত চলাকালে এলাকার হাসমত ফকির ছেলে (বিপ্বব ফকির( ৩০) বাড়ির সামনে সংঘর্ষ দেখতে গেলে এলোপাতাড়ি ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামের মিরাজ ফকির ও সাধু মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাকডাকা ভোরেই সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে তারা ঢাল,সরকি,রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রসশ্রে সজ্জিত হয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী দু,পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালাতে থাকে। সংঘাত চলাকালীন সময়ে পুরুষের পাশাপাশি একই গ্রামের নারীরাও এসে যোগ দেয়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয় । দুই পক্ষের সংঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা ও অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে।
ঘটনাস্থল থেকে ভাঙ্গা থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম জানান, চারদিন আগে এক যুবককে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকসেদুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
What's Your Reaction?