ভাঙ্গায় ধর্ষণের ঘটনায় প্রবাসী নারী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা: ধর্ষক শ্রীঘরে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রবাস ফেরৎ নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রবিবার (৮ জুলাই) রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষক ভাঙ্গা পৌরসভার হুগলাকান্দি গ্রামের শাহাদাত শিকদারের ছেলে আরিফ সিকদার(২৪)। বর্তমানে সে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে মনসুরাবাদ এলাকার পরিবেশ গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, কালামৃধা ইউনিয়নের খামারকান্দি গ্রামের মৃত্যু খলিল মিনার কন্যা লিপি বেগম(৩৮) ২/৩ বছর পূর্বে গৃহপরিচারিকার কাজে ওমানে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে আরিফের সাথে লিপির পরিচয় হয়।এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরপর প্রায় এক বছর পূর্বে ওই নারী দেশে আসার পর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মনসুরাবাদ গুচ্ছগ্রামে একটা ঘরে ডেকে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে । পরে ভুক্তভোগী নারী বখাটে আরিফকে বিবাহের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ওই যুবক বিয়ে করতে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
পরবর্তিতে গত ২ জুন রাতে বিয়ের কথা বলে ওই নারীকে গুচ্ছ গ্রামে ডেকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
এরপরে ওই নারীর শরীরিক কিছু পরিবর্তন দেখা দিলে সে একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে চিকিৎসকেরা জানায় লিপি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনার বিস্তারিত আরিফকে জানিয়ে তাকে বিবাহের জন্য চাপ দেয়। এ সময় আরিফ বিয়ে করতে অস্বীকৃতিন জানিয়ে তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করে।
পরে এঘটনায় প্রবাসী নারী ভাঙ্গা থানায় গত রবিবার রাতে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাঈম জানান, রবিবার রাতে একটি ধর্ষণর মামলা হয়েছে এবং ধর্ষক আরিফকে গ্রেফতার করে করা হয়েছে। ওই নারীকে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে। নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা যুবক স্বীকার করেছে।
What's Your Reaction?