ভাঙ্গায় বাজারের ভিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫, ভাংচুর ও লুটপাট

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে বাজারের জায়গা (ভিটি) নিয়ে সালিশ বৈঠক চলাকালে চাচা ও ভাতিজা পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, পশ্চিম আলগী গ্রামের হরিরহাট বাজারে দোকান বসানোর জন্য নির্ধারিত দুটি জায়গা চাচা আলী মাতুব্বর অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এই জায়গা দুটি নিজেদের দাবি করে তার ভাতিজা দেলোয়ার মাতুব্বর পক্ষ। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বৈঠকের এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাজার থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। ঢাল, সরকি, রামদা, টেঁটা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয় উভয় পক্ষ। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত রাজীব (২৮), ফেরদৌসী বেগম (৩০) ও আরিফ হোসেন (৩০)-কে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নগরকান্দা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেলোয়ার মাতুব্বর পক্ষের অভিযোগ, সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ আলী মাতুব্বরের লোকজন প্রবাসী নূর ইসলাম, মামুন মাতুব্বর, আছমত মাতুব্বর, সিরাজ মাতুব্বর, সাইফুল মাতুব্বর, চুন্নু মাতুব্বর, রফিক মাতুব্বরসহ অন্তত ১০টি বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘর ভাংচুরের পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়।
ভাংচুরের শিকার আছমত মাতুব্বর জানান, “বাজারে সালিশ বৈঠক চলাকালে প্রতিপক্ষ সংঘবদ্ধভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে, মালামাল লুট করে নেয়।”
সালিশ বৈঠকের জন্য প্রস্তুত করা খাবারও তছনছ করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
What's Your Reaction?






