ভাঙ্গায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সেনা সদস্যের জায়গা দখলের অভিযোগঃ ভাংচুর,চাঁদা দাবী
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ফুকুরহাটি গ্রামে সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামান এর ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল,বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গ্রামের হাচান,হবিবর,বাদল ও মিজানুর মীর গংরা ওই সেনা সদস্যের বাড়িঘর দখল ও ভাংচুরে বাঁধা দেওয়ায় তার পরিবার হামলার শিকার হন বলে অভিযোগে প্রকাশ। শনিবার বিকেলে সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগম সাংবাদিকদের নিকট এ সব অভিযোগ করেন।এক পর্যায়ে তিনি তার এবং তার পরিবারের উপর হামলার বর্ননা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন,প্রতিপক্ষরা হুমকি দিয়ে বলছে, চাঁদা না দিলে এলাকা ছাড়া করা হবে। অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়,সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামান চাকরি থাকা অবস্থায় একটা বাড়ি করার জন্য গত ২০২০ সালে ২২ নং ফুকুরহাটি মৌজার বি,এস নং ৯৬৫, ৩২১,৩২২ নং দাগে ১০.৫০ শতাংশ জমি যথারীতি ভোগদখল করে ঘরদরজা নির্মাণ ও গাছপালা রোপণ করেন সেনাসদস্য আলীমুজ্জামানের পরিবার। কিন্ত সম্প্রতি ওই গ্রামের হাসান,হবিবর,বাদল ও মিজানুর মীর গংরা ওই জায়গা দখল করে বাড়িঘর ভাংচুর করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। এ সময় তারা ২টি ঘর,বিদ্যুতের মিটার,টয়লেট ভাংচুর করে। পরে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়েরের পর পুলিশ গিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু আসামিরা ১৪৪ ধারা অপেক্ষা করে জায়গা জমি দখল করে ভাংচুর করে সব কিছু নিয়ে গেছে। বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপর এবং প্রতিবেশী একটি পরিবারের সদস্যদের উপরও হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরিবার দুইটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কেরামত আলী বলেন,আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে মারপিট করে জোর পুর্বক তাদের গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করলে আমি মামলায় সাক্ষ দেওয়ায় প্রতিপক্ষ হাচান,মিজানুর ও হাবিবুর আমাকেও মারধর করে। মামলার বাদি সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর নামে ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ এবং নানা ধরনের বৃক্ষ রোপণ করার পর আসামিরা জোরপূর্বক আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে আমার জায়গা দখল করে টিনের প্রাচীর দিয়ে চারদিকে আবদ্ধ করে রেখেছে। এ ঘটনায় আমি আদালতে ১৪৪ ধারা একটি মামলা করার পর আদালত আসামীদের উক্ত জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলে পুলিশ নোটিশ জারী করা সত্বেও তারা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে আমার বাড়িঘর ভাংচুর, জায়গা দখল এবং টিনের বেড়া দিয়ে আমাকে মারধর সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কর্মকতা ভাঙ্গা থানার এস,আই মিজানুর রহমান জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঊভয় পক্ষকে জানিয়েছি। কেউ আইন অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?