মাগুরায় শিশু ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ মার্চ এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী গ্রামে দাফন করা হয়। শিশু আছিয়ার মৃত্যুর পর বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মাগুরায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ভায়না মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। ইফতারের আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে শিশুটির মরদেহ মাগুরায় আনা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র ও সাধারণ জনতা অংশ নেন।
জানাজা শেষে শিশুটির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। শিশু আছিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






