রংপুরের মিঠাপুকুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ-১৭ দলের ইউনিয়ন ভিত্তিক খেলা চলাকালে কলেজ মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত স্পন্দন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী নামে একটি সংগঠনের ছাঁদে ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে কামরুল হাসান (১৭) নামে মিঠাপুকুর ক্রীড়া উন্নয়ন সংস্থার এক ফুটবলার বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
সোমবার (১জুলাই) আনুমানিক দুপুর দুই টার দিকে মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয় কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুল হাসান উপজেলার ১৪ নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর (পুকুর পাড়) সংলগ্ন মানিক মিয়ার ছেলে। কামরুল উপজেলা ক্রীড়া উন্নয়ন সংস্থার ডিফেন্ডার হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্বের দিন সে ১৪ নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের হয়ে খেলায় জয়লাভ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্বজনরা জানান, ঘটনার সময় মিঠাপুকুর উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়ন এবং ১৩ গোপালপুর ইউনিয়নের অনুর্ধ ১৭ দলের খেলা চলছিল। এ ঘটনার সময় কামরুল হাসান দর্শনার্থী হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। কামরুল হাসানের ছোট ভাই স্পন্দন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর কক্ষের ছাঁদে উঠে। মাঠটি বাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় পূর্ব থেকে কামরুল জানতেন,সেখানে ৫০০ ফিট দুর থেকে এলোমেলো একটি বিদ্যুৎতের অবৈধ সংযোগ ওই সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যবহার করছেন। ছোট ভাইয়ের বিপদ হতে পারে ভেবে কামরুল হাসান সেখানে দ্রুতগতিতে ছুটে যান।
কামরুল হাসান ছাঁদে উঠে ছোট ভাইকে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং ছোট ভাই দুরে সরে যাওয়ার পর নিজে সরে আসার সময় বৃষ্টির পানি থাকায় পা ফঁসকে পড়ে গিয়ে ওই অবৈধ সংযোগের তারে বিদ্যুতায়িত হন। এসময় মাঠে খেলা দেখা দর্শক এবং আয়োজক কমিটির লোকজন বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কামরুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে খেলা বন্ধ হয়ে যায়,এবং মাঠ দর্শক শূন্য হয়ে পড়ে।
এদিকে কামরুল হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় মিঠাপুকুর কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে পরিচালনাকারী আয়োজক কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এই মৃত্যুর কারণ।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,বিকাশ চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।