মিঠাপুকুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ
রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালকের বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা পরিচালকের নাম হেলালুর রহমান হেলাল মিয়া (৪২)। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার গড়ের মাথা সংলগ্ন তানজিমুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং সুলতানপুর জামে মসজিদের খতিব।
ভুক্তভোগী নারী জানান, উপজেলার ৪নং ভাংনী ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে হেলালুর রহমান হেলাল ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তিন বছর পূর্বে তাঁকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু বেশকিছু দিন থেকে হেলাল নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নারী শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২-জানুয়ারি) সকালে তাঁকে তালাক দিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে আবাসিক ঘরে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে জয়পুরহাট থেকে এসে ওই নারীর পিতা তছলিম উদ্দিন মিঠাপুকুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে পরে তার বাবার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক।
ওই নারীর পিতা- তছলিম উদ্দিন জানান, আমার মেয়েকে বেধড়ক মারপিট করে তালাক দিয়ে হেলাল মাদ্রাসায় আটক করে রেখেছে এমন খবর পেয়ে আমরা জয়পুরহাট থেকে আসলাম। মোবাইল ফোন কেঁড়ে নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখে তার মেয়েকে নির্যাতন করার কথাও জানান তিনি।
স্ত্রীকে তালাক প্রদাণের কথা স্বীকার করলেও পরকীয়া সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে হেলাল জানান,তার স্ত্রী নিজেই পরকীয়ার আসক্ত। তাকে সতর্ক করতে মৌখিক এক তালাক দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, অভিযোগের আলোকে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন, চাইলে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। ঘটনা কি তা জানার চেষ্টা চলছে।
What's Your Reaction?