মুন্সিগঞ্জের ফ্যাক্টরিতে আগুন: দগ্ধ সালথার চার জনের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু 

আজিজ রহমান,সালথা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি
Mar 9, 2024 - 23:23
 0  20
মুন্সিগঞ্জের  ফ্যাক্টরিতে আগুন: দগ্ধ সালথার চার জনের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু 

জীবিকার তাগিদে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চার দুস্থ যুবক মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুল এলাকার একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানে চাকরি করে ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে। এতে সালথার চার যুবকই দগ্ধ হন।

দগ্ধরা হলেন, সালথার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষনদিয়া গ্রামে রিয়াজুল ফকির (৩৭), পাশের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৭), রাকিব হোসেন (২৫) ও মতিউর রহমান (৩৩)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান রিয়াজুল।

বাকি দগ্ধরা হাসপাতালে এখনো মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। এদিকে শনিবার সকালে নিহত রিয়াজুলের লাশ সালথার বাড়িতে আনা হলে শোকের মায়া নেমে আসে পরিবারে। রিয়াজুলের স্ত্রী ও দুটি মেয়ের আহাজারিতে বাড়ির পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। শনিবার বাদ যোহর লক্ষনদিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রিয়াজুলের লাশ দাফন করা হয়েছে।  

নিহতের পরিবার জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রিয়াজুল। তার এমন মৃত্যু কেউ নেমে নিতে পারছে না। এখন কি হবে রিয়াজুলের স্ত্রী ও মেয়ে দুটির। কে নেবে তাদের দায়িত্ব। এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবারের মধ্যে।

লক্ষনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, দগ্ধ চার যুবকই গরীব। তারা পেটের তাগিদে মুন্সীগঞ্জের গিয়ে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে চলত তাদের সংসার। বিশেষ করে রিয়াজুলের পরিবারের কিছুই নেই। সে বেশি অসহায় ছিল। তার মৃত্যুতে স্ত্রী-সন্তানদের চরম বেকায়দায় পড়তে হবে।

উল্লেখ্য, গত বহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুল এলাকায় জে কে নামে একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সালথার ওই চার যুবক আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow