যুবদলের ইফতার মাহফিলে সন্ত্রাসী হামলা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আশুলিয়া থানা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাপক ভাঙচুর, গুলি বর্ষণ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটের দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল রূপায়ণ মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি পিয়ার আলী আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন। এরপর তিনি তার অনুসারী ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলীসহ ২৫-৩০ জনের একটি দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ইফতার মাহফিলে হামলা চালান।
হামলাকারীরা প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং প্রায় ২,০০০ রোজাদারের জন্য প্রস্তুতকৃত খাবার মাটিতে ফেলে দেন। হামলার সময় তারা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং একপর্যায়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছিলাম। কিন্তু পিয়ার আলী ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় এবং একটি ভাঙচুর করে। হামলায় যুবদল কর্মী সাঈদ ও শাহাদাত আহত হন। এছাড়া, ডেকোরেশনের কর্মীদেরও মারধর করা হয়।"
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত পিয়ার আলীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবৈধ জমি দখল, ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, "খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
অভিযুক্ত পিয়ার আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
What's Your Reaction?






