রংপুরে ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ড!
রংপুরের মিঠাপুকুরে চাঞ্চল্যকর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ, ধর্ষণ এবং আত্মহননের ঘটনায় লাবলু ওরফে লয়েট (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন "রংপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১" এর বিচারক মোস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯-মে) দুপুর ১২ঃ১০ মিনিটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১" এর বিচারিক এজলাসে আসামি লয়েটের উপস্থিতিতে প্রায় আড়াই বছর পর এ মামলার রায় প্রদান করা হলো। এসময় মামলার বাদী সহ আসামিপক্ষ এবং তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং ওই ছাত্রীর পিতা-মিজানুর রহমান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব- জাফরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে লম্পট লাবলু ওরফে লয়েট (২০) একই গ্রামের জাফরপুর দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ নানান ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ধর্ষণের শিকার এবং পরে আত্মহননকারী ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পিতা মিজানুর রহমানকে জানালে মিজানুর রহমান বিষয়টি লয়েটের পিতা- মতিয়ার রহমানকে অবগত করেন।
এরইসূত্র ধরে- ২০২১ ইং সালের ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে লাবলু ওরফে (লয়েট) ঐ ছাত্রীকে তার বাড়ির সামনে একা পেয়ে জনৈক ঢাকায় বসবাসকারী এক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দুপুর আনুমানিক ১ ঘটিকায় তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি তার অভিভাবককে জানালে,ছাত্রীর পিতা- মিঠাপুকুর থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যেই তৎকালীন এএসপি (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামানের নির্দেশনায় মিঠাপুকুর থানার চৌকশ অফিসার এস আই- রবিউল ইসলাম, অভিযুক্ত লয়েটকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এদিকে এ মামলা চলমান অবস্থায় এবং ধর্ষক লয়েট জেলহাজতে থাকার ১৩ দিন পর ধর্ষকের পিতা-মতিয়ার রহমান এবং মাতার কটুক্তি বঞ্চনার অভিযোগে ওই ছাত্রী তার বোনের বাড়িতে সবার অজান্তে বিষপান করেন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে লয়েটের পিতা মতিয়ার রহমান এবং তার মাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে,যাহা এখনো বিচারাধীন আছে।
এ রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্রীর পিতা মাতা এবং স্বজনরা। তারা দ্রুত সাজা কার্যকরের দাবি জানান। সেই সঙ্গে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলাটি দ্রুত শেষ করার দাবি করেন। মতিয়ার রহমান বলেন, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই- রবিউল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তবে এ বিষয়ে আসামি পক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
What's Your Reaction?