রুমায় ২০২৫ কে স্বাগত জানাতে সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে তোলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সুরের মূর্ছনায় সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণ মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল-- দর্শকদের কাছে। মাতিয়ে তোলেন শিল্পীদের গানে ও নৃত্যের নৈপুণ্যেতা। তালে তালে কেউ নাচে। সুর মিলিয়ে গাইবার অবিরাম চেষ্টা দর্শকদের মাঝেও। দলে দলে অনেকে নেচে-গেয়ে নিজেদের মাতিয়ে তুলেন আনন্দ উপভোগ এর মধ্য দিয়ে। সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের কোনায় কোনায় যুগল যুবাদের কেউ দাঁড়িয়ে বা কেউ বসে উপভোগ করছেন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি। দর্শক সারিতে কমতি ছিল না দুগ্ধ মাদেরও। কেউ বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আর কেউ বা শিশুকে হাতে হাত ধরে। সবারও একমাত্র লক্ষ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ।
পাহাড়ি-বাঙালি পুরো সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গনে ভিড় জমিয়ে ছিল দর্শকদের। চারিদিকে বসেছে ক্রেতা বিক্রেতা পসরা।
এটাই ছিল ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লক্ষণীয় দৃশ্য।
মঙ্গলবার ( ১জানুয়ারি) বিকাল থেকে বান্দরবানের রুমা মারমা যুব সমাজের আয়োজিত রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত অবধি।
বিদায় ২০১৪। নতুন বছর ২০২৫ সাল কে স্বাগত জানিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আনন্দ ঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে বান্দরবানের রুমায় অনুষ্ঠিত হয়েছে-এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রাত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নিশ্ছিদ্র দর্শকদের ভীড়। তখন-ই সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গনকে গান গেয়ে মাতিয়ে দেন শিশু শিল্পী প্রুপ্রু মারমা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের মধ্য থেকেও গান পরিবেশন করেন মংমং মারমা, উহ্লাসিং, অংসিথোয়াই, উতিংওয়াং , সাংবাদিক অংবাসিং, শৈওয়াংপ্রু ও স্থানীয়ভাবে সবার পরিচিত মুখ শিল্পী মেচিংথুই।
শিল্পীদের গান পরিবেশন ও দর্শকদের উন্মুক্ত নাচের সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণকে উজ্জীত করে মারমা ও বাংলার গানে সুরের মূর্ছনায় দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন শিল্পী মংচউ মারমা ও উচছিং।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুতে প্রথম পর্ব সকালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্তদের পুরস্কৃত করা হয়।
What's Your Reaction?