রুয়েটে চাকরির প্রলোভনে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ, কর্মকর্তা গ্রেফতার

মো: গোলাম কিবরিয়া , জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী
Apr 13, 2025 - 14:16
 0  3
রুয়েটে চাকরির প্রলোভনে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ, কর্মকর্তা গ্রেফতার

চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান মানিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার মানিকুজ্জামান মানিক রুয়েটের অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক। মামলার আরেক আসামি তাঁর বড় ভাই, রাজশাহীর ব্যবসায়ী মুনরুজ্জামান মুন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, নগরের রাণীনগর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা তামান্না ইয়াসমিন ২০২২ সালের ৯ মার্চ ৪ লাখ এবং ১৬ মার্চ ১ লাখ টাকা দেন মানিক ও তাঁর ভাই মুনকে—রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁরা চাকরি দেননি, ফেরতও দেননি টাকাগুলো। পরে ভুক্তভোগী তামান্না ইয়াসমিন ২৮ মার্চ বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই মানিককে গ্রেফতার করা হয়।

তবে তামান্নাই একমাত্র ভুক্তভোগী নন। গত ১৬ মার্চ রাজশাহী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছয়জন ভুক্তভোগী জানান, মানিক ও তাঁর ভাই মুন চাকরি, জমি বায়না এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থ নেওয়ার নামে প্রতারণা করে তাঁদের কাছ থেকে মোট ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগকারীরা হলেন মাহাবুবুর রহমান সঞ্জু, শাহি, নওবাহার খাতুন, তামান্না ইয়াসমিন, আশরাফ উজ জামান ও মামুনুর রশিদ।

সংবাদ সম্মেলনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে অভিযুক্ত দুই ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং পাওনাদারদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকেই মামলার প্রস্তুতি নিতে থাকেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে মানিক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে আরও দুই ভুক্তভোগী বোয়ালিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন। তাঁদের মধ্যে রাণীনগরের সালমা কবির জানান, তাঁর মেয়ে ফাহমিদা আক্তার রিমিকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে চার বছর আগে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন মানিক ও মুন। অন্যদিকে জেসমিন আরা নামের এক নারী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন তাঁরা।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, “প্রতারণার মামলায় মানিককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অন্যান্য অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow