লামায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন আলীকদম জোন

বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে দুর্জধন পাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত এক ত্রিপুরা পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে আলীকদম সেনা জোন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বসতঘর নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রী (টিন) প্রদান করা হয়।
জানাগেছে, সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় মচরণ ত্রিপুরা নামের এক জুমচাষীর পুরো বসতবাড়ি। এতে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী আলীকদম জোনের গজালিয়া আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত সহযোগিতার উদ্যােগ নেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গজালিয়া আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য টিন প্রদান করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। নির্মাণ সামগ্রী টিন নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত পাড়ায় দেখতে যান গজালিয়া আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর হাফিজ। এসময় তিঁনি বলেন, 'আলীকদম জোনের পক্ষ থেকে এই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি ত্বরান্বিত এবং তাদের নতুনভাবে জীবন শুরু করতে সহায়তা করবে। আলীকদম সেনা জোন বরাবরই জাতীয় দুর্যোগ ও সংকটময় মুহূর্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তার পাশাপাশি জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী অর্ধশত বছরের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আলীকদম জোনের মানবিক কর্মকান্ড আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনী পাহাড়ি এলাকায় দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি সরবরাহ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান, খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণসহ জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।' সেনাবাহিনীর এই সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত মচরণ ত্রিপুরা বলেন, 'আমার ঘর পুড়ে যাওয়ার পর আমরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। সেনাবাহিনীর সহায়তায় এখন আবার নতুন করে ঘর নির্মান করতে পারবো, এজন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীকে যেকোনো দুর্যোগে পাশে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
What's Your Reaction?






