লামায় পাহাড় কাটার অপরাধে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড

বান্দরবানের লামা উপজেলা সরই ইউনিয়নের লম্বাখোলা নামক স্থানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামা শাখা কর্তৃক অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সময় ফয়সাল আহমেদকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন লামা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অপরাহ্নে সরেজমিন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট মোঃ মঈন উদ্দিন পাহাড় কাটার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। সাথে সাথে মোবাইল কোর্টের আওতায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারায় পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয় কোয়ান্টাম লামা শাখার সমন্বয়ক ফসলাম আহমেদ (২২)কে। ফয়সাল আহমদ, পিতা: হাসমত আলী সাং-পুঠিয়া, রাজশাহী, সে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে স্কাভাভেটর দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সরই ইউনিয়নের ক্যায়াজুপাড়া কোয়ান্টাম ক্যাম্পাসে আরো কয়েকটি পাহাড় কেটেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ আছে যে, প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আসছে তারা। কতিপয় কোয়ান্টামের প্রধান মহাজাতকের কাছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সাবেক ও বর্তমান আমলা ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা সর্বদা অনুগত। কথিত আছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান একজন ভাগ্য রেখা গণনার সাধক। এই সুবাধে দেশ বরণ্য অনেকে লামাস্থ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কসমো স্কুল পরিদর্শনে এসে আপ্যায়িত হয়ে মুগ্ধতায় তৃপ্তি লাভ করেন। এই প্রান্তিক জনপদে গুরুজি শিক্ষা সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করছেন; এটা সত্য। তবে লামায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে তার লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে আসছে। বিগত তিন দশকে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে তারা ছোট বড় বেশ কয়েকটি পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক অবয়ব পরিবর্তন করেছেন। বিগত বছরেও বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাযায়নি। লামা উপজেলা প্রশাসন এই প্রথম মহাগুরুর প্রতিষ্ঠানে আইনের প্রয়োগ দেখিয়েছেন; যা স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলকে বিস্মিত করেছে(!)। কারণ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনের এমন সাহসী প্রয়োগ স্থানীয়রা বিগত তিন দশকে আর দেখেন নাই।
What's Your Reaction?






