লামায় প্রেমিক যুগলকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, কথিত রিসোর্ট মালিক আটক

লামা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শীলেরতুয়া এলাকায় পাহাড়চূড়ায় গড়ে ওঠা একটি কথিত রিসোর্টে প্রেমিক যুগলকে আটকে রেখে মারধর ও অর্থ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত কথিত রিসোর্ট মালিক হাসান মাহমুদসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আটক প্রেমিক মাহি (২২) জানান, বিকেল তিনটার দিকে বান্ধবীকে নিয়ে তিনি রিসোর্টে ঘুরতে যান। কিছুক্ষণ পর তার পূর্বপরিচিত দুই যুবক সেখানে উপস্থিত হন, যাদের একজনের সঙ্গে মাহির আগে থেকেই বিরোধ ছিল। রিসোর্ট মালিক হাসান মাহমুদ প্রেমিক যুগলকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। এরপর ওই দুই যুবক মাহিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে কথিত রিসোর্ট মালিক হাসান মাহমুদকে আটক করা হয়।
প্রেমিক তরুণীর মা ও চাচা জানান, অভিযুক্তরা মোবাইল ফোনে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। মেয়েটির হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে 'বাঁচাও' বলে আকুতি জানানো হয়। মাহির চাচা খোকন জানান, তার কাছেও ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।
মাহি জানান, প্রেমিক যুগলের মধ্যে দুই বছরের সম্পর্ক রয়েছে। তরুণীর মা অভিযোগ করেন, মাহি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে কলঙ্কিত করেছে। তিনি চান, মাহি যেন তার কলেজপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে করে দায়মুক্ত হয়, না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
অন্যদিকে মাহির পরিবার দাবি করছে, প্রেমিক যুগলকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় আগে মামলা হতে হবে, তারপর বিয়ের বিষয় বিবেচনা করা যাবে।
রিসোর্ট মালিক হাসান মাহমুদের পিতা জানান, তার ছেলে প্রেমিক যুগলকে নিরাপত্তার জন্য একটি কক্ষে থাকতে সাহায্য করেছিলেন। তবে লামা রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে তৈরি করা কথিত এই রিসোর্টটি তাদের তালিকাভুক্ত নয়। সমিতি এই ধরনের অননুমোদিত রিসোর্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "রিসোর্টে নিরাপত্তা না দিয়ে বরং অনৈতিক কাজের সুযোগ করে দেওয়া, মারধর ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।"
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে সামাজিক সমাধানের লক্ষ্যে দেনদরবার চলছিল।
What's Your Reaction?






