লামায় বালু লুটেরাদের হামলায় আহত ৩

বান্দরবানের লামার আজিজনগর পূর্বচাম্বিতে লােহাগাড়ার আওয়ামী বালু সন্ত্রাসীদের হামলায় একজনের হাতের হাড় ভেঙে যাওয়াসহ ৩জন গুরতর আহত। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরই ইউপির আওয়ামী নেতা নাসির উদ্দিন মেম্বারের নেতৃতে দু'টি সিন্ডিকেট বালু নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এই সিন্ডিকেটটি দু'ভাগে বিভক্ত। একটি নিয়ন্ত্রণ করছেন নাসির মেম্বারের ভাই নাজিম উদ্দিন ও আবুল হোসেন। আরেকটি লোহাগাড়া আওয়ামীলীগ নেতা কোম্পানি প্রকাশ যুবলীগ ক্যাডার। মঙ্গলবার রাতে জিসান গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয়দেরকে মারধর ও জনতার উপর ফায়ার করলে জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা হচ্ছে, মোঃ আরেফাত, মোঃ আরিফ, মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ মানিক
মোঃ টুটুল, মোঃ খালেদ, মোঃ জহির (আদুনগর), মোঃ আরিয়ান হাছান
মোঃ সেলিম উদ্দিন। এরা সবাই লোহাগাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি হচ্ছে, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সেখানে বিশাল দু'টি বালুর স্তুপ নামেমাত্র মুল্যে লোহাগাড়ার বালু সন্ত্রাসীদেরকে নিলাম পাইয়ে দেয় নাসির উদ্দিন মেম্বার গং। জানাযায়, সরই ইউপি ঘেষে আজিজনগর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড পূর্বচাম্বি এলাকটি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া সংলগ্ন। পূর্বচাম্বি মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ডলুখালের পাড়ে কাছাকাছি দুটি বালু পয়েন্টে প্রায় আট লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে মজুদ করা হয়। বিগত দিনে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ওই দু'টি পয়েন্টে মজুদ বালু জব্দ করেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ হচ্ছে, লোহাগাড়ার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সরই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দিনের মাধ্যমে প্রশাসন নিয়ে নামেমাত্র মূল্যে স্পট নিলাম করায়। এতে সরকারে যতেষ্ট রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এলাকাটি সন্ত্রাস প্রবন বলে সংশ্লিষ্টদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তড়িগড়ি করে স্থানীয়দের অজ্ঞাতসারে স্পট নিলাম করান নাসির উদ্দিন মেম্বার গং। বিএনপির এক নেতা জানান, এ কাজে নাসির মেম্বার বালু সিন্ডিকেট থেকে আট লাখ টাকা নিয়েছে। বর্তমানে বালু কেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সেখানে স্থানীয় বনাম লোহাগাড়ার দু'গ্রুপের সাথে প্রাণঘাতি সহিংসতা আশঙ্কা করছেন পূর্বচাম্বির বাসিন্দারা। এই বিষয়ে নাসির উদ্দিন মেম্বার জানান, 'বালু সংক্রান্ত কোনো কিছুতে আমার নাম নেই। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে'। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয় নাই। লামা থানা ওসি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি শুনার পর ক্যায়াজুপাড়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে টহল পাঠিয়েছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
What's Your Reaction?






