শতবর্ষী সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমীর ফাউন্ডেশন ৮৬ করে দেখালো একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান 

স্টাফ রিপোর্টার
Mar 2, 2024 - 19:51
 0  19
শতবর্ষী সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমীর ফাউন্ডেশন ৮৬ করে দেখালো একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান 
শতবর্ষী সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমীর ফাউন্ডেশন ৮৬ করে দেখালো একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান 

শুধু নিজেদের জন্য নয়, এলাকার জন্য কিছু করতে হবে। আর সে ব্রত নিয়েই শুক্রবার সকালে ফরিদপুরের নগরকান্দা সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমীর ফাউন্ডেশন ৮৬'র প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এগিয়ে চলেছে। 

ফাউন্ডেশন ৮৬'র প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ স্ব স্ব ক্ষেত্রে সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়েও আঁকড়ে রেখেছে তাদের বন্ধুত্বকে। 

সেই বন্ধুরা মিলেই শুক্রবার একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজন করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি মিলন মেলার। 
শতবর্ষে স্কুলের ইতিহাসে যা কেউ করতে পারেনি ওরা ফাউন্ডেশন ৮৬  তা করে দেখালো,আমাদের শেখালো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক বাবু ধীরেন্দ্রনাথ সাহা।

শুক্রবার সকালে কেট কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সকলের প্রিয় শিক্ষক বাবু ধীরেন্দ্রনাথ সাহা ও ৮৬ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। 

পরে সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমীর হল রুমে যুগপূর্তী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা ও স্মৃতিকথার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১৯৫৬ সালের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল আউয়াল, ১৯৬৫ সালের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডা: আব্দুল জলিল, প্রাক্তন শিক্ষার্থী চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নিলু, ডা: দিলীপ রায়,চেয়াম্যান সিদ্দিকুল আলম বাবলু,শামসুল হুদা হুদু,ফরিদপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, ইষ্ট ওয়েষ্ট মেডিকেলের চেয়ারম্যান ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন, ডা:হাফিজুর রহমান, শিক্ষক গোলাম মাওলা, আশরাফ বাবু, কমরেড রফিকুজ্জামান লায়েক, শওকত আলী শরিফ সহ অসংখ্য প্রবীণ প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। 

বক্তাগণ স্কুলের মরহুম শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। 

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন  ৮৬'র আহবায়জ এ টি এম নুরুল আলম মনা,মোকসেদ সুমন ও রেহেনা আক্তার পিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 
এসময় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এলাকার যে কোন প্রয়োজনে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠান শেষে ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন স্কুলের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীের জন্য প্রতিবছর ১ লাখ টাকা বৃত্তি ঘোষণা করেন এবং ডা: আব্দুল জলিল দুই জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার সম্পূর্ণ খরচ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow