শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার।

সাভারের আশুলিয়ায় ৮ বছরের এক শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল হোসেন (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। র্যাবের সহায়তায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জের বনগ্রাম এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাসেল হোসেন ভোলার লালমোহন উপজেলার নবীনগর এলাকার মো. বাবুল বেপারীর ছেলে।
আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ি এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় শিশুটির পরিবার বসবাস করে। শিশুটির মা-বাবা আশুলিয়ার দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই বাসায় বেড়াতে আসেন অভিযুক্ত রাসেল। গত সোমবার শিশুটির মা-বাবা কাজে যাওয়ার সময় তাকে রাসেলের সঙ্গে বাসায় রেখে যান। সকাল ৮টার দিকে রাসেলের বাবা শিশুটির বাবাকে ফোন করে জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা রাসেলকে বাসার পাশে আটকে রেখেছেন। বিষয়টি জানার পর শিশুটির বাবা দ্রুত বাসায় ফিরে দেখেন, শিশুটি পাশের একটি কক্ষে কান্নাকাটি করছে। আশপাশের লোকজন ও শিশুটির বয়ান থেকে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে রাসেল শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং পরে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির বাবা আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাসেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাবের সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, অভিভাবকদের সতর্ক থাকা এবং শিশুদের সঙ্গে যেকোনো অপরিচিত ব্যক্তির যোগাযোগ সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা জরুরি।
What's Your Reaction?






