শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যা, আটক-৪
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসা মো. রবিউল ইসলাম (২৮) নামে এক জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মৃত্যু এবং আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রবিউল ইসলাম টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৯ নং ওয়ার্ডের এরশাদনগর এলাকার তুহিন তালুকদারের ছেলে।
গ্রেফারকৃতরা হলেন,শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা বালুঘাট গ্রামের শশুর মো.আবুল কালাম আজাদ (৪৫) এবং তার ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির (১৯) ও মেয়ে (নিহত রবিউলের স্ত্রী)মোসাঃ কারিমা (২২), ও শরীয়তপুর জেলা নড়ীয়া থানাট আইটপাড়া গ্রামের মোঃ বাবুলের ছেলে মোঃ লিটন (৪৬)। তারা পূবাইল থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ড এর সাতানীপাড়া গফুরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
জানা যায়, ১ বছর আগে পূবাইল থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ড এর সাতানি পাড়া এলাকায় বিয়ে করেন নিহত রবিউল ইসলাম। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেইহ থাকতো। ঈদ মার্কেটের বিষয় নিয়ে রবিউলের সহিত ঝগড়াঝাটি করে ভাড়া বাসা ছেড়ে তার পিতার বাড়ীতে চলে যায় স্ত্রী। স্ত্রী- শ্বশুরবাড়িতে থাকায় গত ৫ মে রবিবার দিবাগত রাতে টঙ্গী থেকে এসে রবিউল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠেন। এসময় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন সকলে মিলে তাকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে পিটিয়ে নির্যাতন চালায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা নিহত রবিউলকে বৃহস্পতিবার ৯ মে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবিউল ইসলাম মারা যান। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, নিহত রবিউল টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ও অজ্ঞাত চার-পাঁচজন এর নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার (১১ মে) সকালে মামলায় অভিযুক্ত নিহত রবিউলের স্ত্রী শশুর শ্যালককে ও প্রতিবেশী লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
What's Your Reaction?