সংরক্ষিত বনে করাতকল, কাপ্তাইয়ে উজাড় হচ্ছে পাহাড়

রাঙামাটির কাপ্তাই রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। এর জেরে দেশের অন্যতম বৃহৎ সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি দ্রুত হারাচ্ছে সবুজ বেষ্টনী, হুমকির মুখে পড়ছে পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারী এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রিজার্ভ ফরেস্টের মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বন্ধ থাকা একটি পুরোনো স’মিলের পাশে অন্তত দুটি নতুন করাতকল স্থাপন করা হয়েছে, যেগুলো প্রতিনিয়ত চোরাই কাঠ চিড়াই করছে।
বলা হচ্ছে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বিদ্যুৎচালিত করাত দিয়ে দ্রুত গাছ কেটে তা হ্রদের পানিতে ফেলে দেয়। পরে সেগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে তুলে এনে বাজারজাত করে। এসব কার্যক্রমে বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন রাতেই শত শত ঘনফুট কাঠ চিড়াই করা হচ্ছে এসব স’মিলে। কয়েক লাখ টাকার চোরাই কাঠের কারবার চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে। কাপ্তাই রেঞ্জের ভেতরের অনেক অংশ ইতোমধ্যেই বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে কাপ্তাই রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “আমি মাত্র দুই মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। পূর্বের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বন উজাড় বন্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আশা করি অচিরেই পুরো রেঞ্জ আবার সবুজে ঢাকা পড়বে।” তিনি আরও জানান, দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও’র নির্দেশনায় সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
What's Your Reaction?






