সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ রয়েছঃ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয় নিয়ে সরকারি সংস্থা কাজ করছে। তারা তদন্ত করে বের করবে এগুলো উস্কানিমূলক ছিল কিনা। এটা মেডিকেট করার আর কোন উপায় ছিল কিনা। আমরা সকলকে আহ্বান করবো ধৈর্য ধরার জন্য। এখন দেশ গড়ার সময়, এখন দেশ না গড়ে আমরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছি এটা কারো জন্য শুভ কর নয়। বিশেষ করে ছাত্র সমাজের উপরে আমরা অনেক ভরসা করি। দেশে থেকে ফ্যাসিবাদ চলে গেছে, গণতন্ত্রের পথে যাত্রার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিবাদন জানাই তারা যেন এই জিনিসটা তাদের মাথায় রাখে। গণতন্ত্রের পথে যাওয়া আমাদের জন্য এমনিতেই কঠিন। কোন অসহিষ্ণু আচরণের জন্য তা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ রয়েছে।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের নদী গবেষনা ইনস্টিটিউটের ৫৫ তম পরিচালনা বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে বহু নদী ছিল, যা ধীরে ধীরে নাব্যতা সংসকটসহ নানা কারনে মারা যাচ্ছে। নদী গবেষনা একটি বড় প্রতিষ্ঠান। নদ-নদী সংক্রান্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে কমিশন গঠন হচ্ছে কিন্তু তাদের জন্য বিগত দিনে যে বরাদ্দ ছিল তাতে ভাল কোন গবেষনা সম্ভব নয় বলে আফসোস করেন। এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন একটি বড় সমস্যা যা সব সময় বিভিন্ন প্রভাবশালীরা এই দখলদারিত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর গবেষণার মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের সহযোগিতা করা উচিত। বাজেটে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত না হলেও বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করব।
এছাড়াও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বিভিন্ন বাঁধ সংক্রান্ত যে জটিলতা আছে সেগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছি বলেও তিনি জানান।
পরে তিনি নদী গবেষনা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় ও বিভিন্ন গবেষনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে বহু নদী রয়েছে।
পানি সম্পদ সচিব মো. নাজমুল হাসান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. ইউসুফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক তাহমিদুল ইসলাম, নদী গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আবু হোরায়রা, পানি সম্পদ উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবু নঈম মারুফ খান, উপ-সচিব মো. মোবাশশেরুল ইসলাম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপদেষ্টা সহকারী একান্ত সচিব আশিকুর সমী, ফরিদপুর জেলা প্রশাসন মো. কামরুল হাসান মোল্যা, ফরিদপুর পুলিশ আব্দুল জলিল উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?