সদরপুর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে স্বস্তি

ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিএনপি কর্মীদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ওপর দেওয়া পূর্বের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
এ সংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসেস শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্বপন কিবরিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বিএনপি কাজী বদরুতজামান বদুকে আহ্বায়ক ও মো. তরিকুল ইসলাম কবিরকে সদস্য সচিব করে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। তবে কিছুদিন পর ওই কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ, ২০ মার্চ আবারও ওই কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুতজামান বদু বলেন, "আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। জীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছি, দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও দলের জন্য কাজ করে যাব। দলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, যা আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরও উজ্জীবিত করবে।"
সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা বলেন, "দলের দুঃসময়ে অন্যায়-নির্যাতন ও কারাভোগের শিকার হয়েছি, কারণ আমার অপরাধ ছিল কেবল বিএনপির রাজনীতি করা। আজ দলের পক্ষ থেকে মূল্যায়িত হচ্ছি, যা আমার জন্য সম্মানের। আগামীতে দলের জন্য আরও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব।" তিনি বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
What's Your Reaction?






