সদরপুরে রাতের আধারে পদ্মা পাড়ের মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার রাতের আধারে পদ্মার পাড় থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের কবলে পড়ার শঙ্কায় আকোটের চর ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আকটের চর এলাকার নতুন ছলেনামা গ্রামের পদ্মার পাড় থেকে রাতের আধারে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা।
ভাটা মালিকরা কৃষকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে নদী পাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বর্ষা মৌসুমে পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়বে ছলেনামা গ্রামসহ শত শত একর ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা।
গ্রামের কয়েক জন জানায়, অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। পদ্মার পাড় থেকে রাতের আধারে প্রতিনিয়ত মাটি কাটছে তারা।
রতভর চলে তাদের কর্মযজ্ঞ। এভাবে চলতে থাকলে বর্ষায় আমাদের ভিটে-মাটি হারিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।
গ্রামবাসী আরো জানান- রাত ১১টায় প্রভাবশালী মহলটি মাটি কাটা শুরু করে এবং ভোর রাতে এক্সেভেটর ও ট্রাক নিয়ে চলে যায়।
উপজেলা প্রশাসন মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকারি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থণা করছি।
গেলো বর্ষা মৌসুমেও সদরপুরের পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন এলাকা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বসতভিটা হারিয়েছেন কয়েকশো পরিবার। আর এখন শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা পাড়ের মানুষের নতুন আতঙ্ক মাটি ব্যবসায়ীরা।
পদ্মার ভাঙ্গন ও মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী জানান, আমরা নিয়মিত মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। পদ্মার পাড় থেকে রাতের আধারে মাটি কাটার ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। পদ্মার চর দুর্গম এলাকা হওয়ায় ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
What's Your Reaction?