সরাইলে ট্রাক্টর আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, এক মাসেও উদ্ধার হয়নি গাড়ি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর আটকে রেখে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাহিন মিয়া (৩৩), মো. রাজু মিয়া (৩৮) সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার এক মাস পার হলেও এখনো গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
এ ঘটনায় গাড়ির মালিক মো. রুমেল মিয়া (২২) গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সরাইল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৫)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—তোতা মিয়া (৫৫), মানিক মিয়া (৩৫) ও রেহেনা বেগম (৪৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ সকাল ৬টার দিকে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা রুমেল নিজেই ট্রাক্টর চালিয়ে শাহবাজপুর যাওয়ার পথে যাদবপুর মোড়ে পৌঁছালে অভিযুক্তরা রাস্তা অবরোধ করে তাকে থামিয়ে দেয়। এরপর তারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। রুমেল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা তাকে ড্রাইভিং সিট থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে মারধর করে এবং পকেটে থাকা নগদ ১৯ হাজার টাকা ও ট্রাক্টরটি ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর রুমেল মিয়া প্রথমে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তিনি ১৮ মার্চ থানায় আনুষ্ঠানিক মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়, তবে গাড়ি এখনো উদ্ধার হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহিন মিয়া দাবি করেন, “গাড়িটি আমি আটক করিনি, রাজু ও মানিক আটকে রেখেছে।” অভিযুক্ত রাজু মিয়া বলেন, “গাড়ি আমাদের বাড়িতেই আছে।”
ভুক্তভোগী রুমেল মিয়া বলেন, “আজ এক মাস হয়ে গেলেও আমার ট্রাক্টরটি উদ্ধার হয়নি। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, কিন্তু তারা পাঁচ দিন পর জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে। এখন ভয় হচ্ছে গাড়িটি খুলে বিক্রি করে দেবে।”
এ বিষয়ে শাহবাজপুর বিট অফিসার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জয়নাল আবেদীন জানান, “শোনা যাচ্ছে, গাড়িটি আসামিদের বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।”
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গাড়ি উদ্ধারের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
What's Your Reaction?






