সাভারের মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় নারীকে হত্যা করে মাটি চাপা
ঢাকা সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী ও ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি এবং অপর মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী গ্রেপ্তারের জেরে ঢাকা জেলার উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স সীমা বেগম (৪২) নামের এক নারীকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এঘটনায় সাইফুল নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩ টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজ নগর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে সীমার মরদেহ মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করেন পুলিশ। স্থানীয়দের তথ্যমতে এর আগে গত ২ জুন নিখোঁজ হয় সীমা বেগম। নিহত সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সী কাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান।
সূত্র-মতে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হামিদ মিয়াকে মাদক সহ গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করেছিলেন। আটককৃত ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম। সে সাভারের ইমান্দিপুরের মাদক ব্যবসায়ী। সাইফুলের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসাবে মাদক কারবারি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিরুলিয়ার খনিজ নগর এলাকা থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, গত ১৩ মে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মাদক সহ স্বপনের স্ত্রী ও যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় স্বপন পালিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর আমার 'মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, স্বপন লোকজন ঠিক করেছে আমাকে মেরে ফেলার জন্য। ঠিক এর দুইদিন পর থেকেই আমার মা নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার (৬জুন) স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে আমার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। নিহতের মেয়ে আরো বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবির)অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করে ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশ নাকি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। সে জন্যই আমার মাকে স্বপন, রেজাউল ও সাইফুল সহ আরও কয়েকজন মিলে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মাটি চাপা দিয়েছেন।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিহত সীমা বেগম র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে কাজ করতো। এবং আমরাও মাদক উদ্ধারে নিহত সীমার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়েছি। সীমা বেগমের নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। এঘটনায় হত্যা কারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। উল্লেখ্য: গত ১৩ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজ নগর এলাকা থেকে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তার (২০) গ্রেফতার করেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি"র) একটি অভিযানিক দল।
What's Your Reaction?