সালথায় এক রাতে দুই গ্রামে ডাকাতি
ফরিদপুরের সালথায় একই রাতে দুই গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৫ জানুয়ারি) রাতে পৃথক ভাবে দুটি গ্রামে এই ডাকাতি সংগঠিত হয়। প্রথমে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে সাইফুর মোল্লার বিল্ডিং এ রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিল্ডিং এর পাশে থাকা গাছ বেয়ে ভিতরে ঢুকে দরজা ভেঙে, বাড়ির সদস্যদের ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে লেপের নিচে ঢেকে রেখে ৭/৮ জনের সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল ওয়ারড্রব ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ন, নগদ একলক্ষ টাকা ও মোবাইল সেটসহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নেয় ডাকাত দল।
পরে রাত আড়াইটার দিকে একই উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের বাড়িতে ৫/৬ জনের ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রথমে আতিকুরের ছেলে সাইদুরকে ধরে, এতে সাইদুর চিৎকার দিলে মারধর করে তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পাশের রুমে আতিকুরকে গিয়েও হাতপা বাঁধে ডাকাত দল।
আতিকুর রহমান এর ছেলে সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের ঘরের কাপড়চোপড় সহ সব ধরনের মালামাল লুটে নেওয়ার পর, আমার বাবা মার কাছে ঘুমানো বড় ভাইয়ের বাচ্চাদের অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে ওর মার ঘরে মাকে ডাকতে বাধ্য করে। ওর মা এতো রাতে ছেলের ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলতেই ৪/৫ জন ঘরে ঢুকে যায়। ওর মা চিৎকার দিতেই একজন অস্ত্র ঠেকিয়ে ধরে। তারপর সারা ঘর তছনছ করে সব কিছু লুটে নেয়। প্রায় এক ঘন্টা তারা এই তান্ডব চালায়। ৬ টি মোবাইল সেট, সোনার নেকলেস ও নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরের দিন সকালে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে। পরে সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ তদন্ত ক্রাইম বিভাগ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্তি শৈলেন চাকমা দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, আমরা এই ডাকাতির ঘটনা নিয়ে অলরেডি কাজ শুরু করেছি। আশা করি দ্রুতই এই ডাকাত চক্র আইনের আওতায় আসবে। এখনও কোন লিখিত অভিযোগ থানায় দেয়নি কেউ, অভিযোগ হলে মামলা হবে। আমরা মামলা ভিত্তিতে আরো ব্যাপক ভাবে কাজ করতে পারবো।
What's Your Reaction?