সালথায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র মারামারি, পুলিশের উপর হামলা-গাড়ি ভাংচুর, আটক ৩

জাকির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
Jun 28, 2024 - 23:26
 0  25
সালথায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র মারামারি, পুলিশের উপর হামলা-গাড়ি ভাংচুর, আটক ৩

ফরিদপুরের সালথায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশির মধ্যে মারামারি, পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ি লেগুনা ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়ার দক্ষিণপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ঐ এলাকার সামাদ মোল্লা ও তার লোকজন জোরপূর্বক বিরোধীও জমি থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে মর্মে সুজন মোল্লা কর্তৃক ৯৯৯ -এর ফোন দিলে সালথা থানার কিলো পার্টির ইনচার্জ এসআই(নিঃ) আবু রায়হান নুর ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, স্থানীয় ফজলু বাদশা মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশে  আজিম উদ্দিন মোল্লার পুত্র সামাদ মোল্লা(৫৫) এবং তার প্রতিবেশী মৃত সাত্তার মোল্লার পুত্র সুজন মোল্লা (৩৫) মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সামাদ মোল্লা ও তার লোকজন জোরপূর্বক গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে সুজন মোল্লা নামক ব্যক্তিকে সামাদ মোল্লা,  ফিরোজা বেগম, সাইদুল মোল্লা, ঝরনা বেগম, ইউনুস মোল্লাসহ  ৮/১০ জন পুলিশের সামনে লাঠি সোটা দিয়ে সুজন মোল্লাকে পিটাতে থাকে। পুলিশ উভয় পক্ষের লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। 

কিন্তু উল্লেখিত ব্যক্তিরা শান্ত না হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করে এবং পুলিশের ব্যবহারকৃত লেগুনা গাড়ির সামনের গ্লাসে আঘাত করলে গ্লাস ফেটে যায়। সংবাদ পেয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার ও ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু উশৃঙ্খল লোকজন আরো উত্তেজিত হলে শটগান হতে এক রাউন্ড লেডবল ফাঁকা ফায়ার করে উশৃংখল লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

এসময় ঘটনাস্থল থেকে আসামী সামাদ মোল্লা র স্ত্রী ফিরোজা বেগম(৪০) ও পুত্র সাইদুল মোল্লা (২৩), রুস্তম মোল্লার স্ত্রী ঝরনা বেগম (৪০) কে আটক করা হয় এবং আহত পুলিশ সদস্য'কে চিকিৎসার সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফায়েজুর রহমান বলেন, ভাবুকদিয়া হতে প্রতিপক্ষের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে একটি পুলিশ ফোর্স পাঠালে পুলিশের সামনেই ৯৯৯ এ ফোন প্রদানকারীকে মারধর শুরু করে। পুলিশ ঠেকাতে গেলে একজন পুলিশ সদস্যের উপর আক্রমন করে এবং পুলিশের ব্যবহারকৃত গাড়ীর সামনের গ্লাসে চাপড় মেরে গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ ব্যপারে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল হতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকী আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত আছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow