সালথায় থামছেনা মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন, নিশ্চুপ প্রশাসন
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিভিন্ন স্হানে চলছে ভেকু গাড়ি দিয়ে মাটিকাটা, মাটি বিক্রি ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন। প্রশাসন কঠোর ভাবে ব্যবস্হা না নেওয়ায় থামছেনা মাটিকাটা মাটি বিক্রি ও বালু উত্তোলন।
উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খালিশপট্রি হাজী বাড়ির পাশে, যদুনন্দি ইউনিয়নের বড় খারদিয়া শেখ পাড়া, সোনাপুর ইউনিয়ন এর রাঙ্গারদিয়া, বড় বাঙ্গরাইল, বল্লবদি ইউনিয়ন এর ফুলবাড়িয়া গ্রামের কুমার নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এছাড়া গট্রি ইউনিয়নর জয়ঝাপ, বটদিয়া বাজারের পাশে
কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্র -ড্রেজার মেশিন- দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করায় নদীর দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক চরম হুমকির মূখে পড়েছে। যে কোন সময় নদীর পাড় থেকে সড়কের অংশ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। প্রশাসন দেখেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দৃশ্যমান কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা স্থানীয় বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এসে দেখে যায়। কোনো ব্যবস্থা ন্যায় না।
কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা বলেন- মাত্র কয়েক দিন আগে কোটি কোটি টাকার খরচ করে নদের দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। সেই সড়ক দুটি এখন চরম ঝুঁকিতে। এর আগে নদটি খনন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদ খননের পর দুই পাড় ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে এমনিতেই। এরমধ্যে আবার নতুন করে কয়েক দিন ধরে নদের ভিতর অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন একটি মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- ভেকু ও ট্রলি গাড়ি চালকদের ভাষ্য মতে জানাযায়, সালথার মাটি ব্যবসায়ী কামরুল এর নেতৃত্বে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন চলছে অহরহ।
ড্রেজার শ্রমিকর আজগর বলেন কামরুলের ড্রেজার আমরা তার শ্রমিক।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান বালি মুঠো ফোনে বলেন, ইট ভাটার মাটির জন্য এক স্হানের মাটি কাটার জন্য ডিসি অফিসের অনুমতি আনছে, অন্য জায়গায় মাটি কাটার বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?