সালথায় মামলা ও সংবাদের প্রতিবাদে ভূক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের সালথায় মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভূক্তভোগি পরিবার। শনিবার সকাল ১১ টায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ওই পরিবার টি। এক লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগি পরিবারের এক সদস্য লিটন মোল্লা বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ একটি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামের প্রবাসী রবিন মোল্লা ও প্রতিবেশী ভ্যান চালক দুলাল এর সাথে বিরোধ চলছিলো। এই ঘটনায় গ্রামের কিছুলোক রবিনের পক্ষ দেয়। অপর আরেকটি গ্রুপ দুলাল মোল্লার পক্ষ নেয়। বছর শেষে ঘটনাটি অমিংশতিই রয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে কিছুদিন পর পর একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ আনছে মামলা ও জেল হাজত ও ভোগ করতে হচ্ছে অনেক কে। প্রবাসী রবিনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, আমার স¦ামী বিদেশ যাওয়ার পর আমরা ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করি প্রতিবেশী এক লোকের কাছ থেকে সেই জমিতে টিউবওয়েল গাড়তে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ মাতুব্বর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগম দলবল নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। এবং আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। আমরা কোর্টে গিয়ে ওনাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করি। এতে ইউপি সদস্য জেলও ভোগ করেন। আরেক ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগম জামিনে আসেন। জামিনে এসেই আমার মামলার যারা সাক্ষি ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ছিনতাইয়ের মামলায় যাদের আসামী করেছে তাদের মধ্যে দুজনই মহল্লার দুটি মসজিদের ইমামতি করেন। তারা ইশার নামাজ পড়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন, গভীর রাতে তাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান। তাছাড়া ছিনতাইয়ের কোন ঘটনায় ঘটেনি। তারা আমাদের মামলার সাক্ষিদের দুর্বল করতেই এই নাটক সাজিয়েছে। এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে কয়েকটি সংবাদ ও প্রকাশ করা হয়, যা সম্পর্ন মিথ্যা ও উদ্যোশ্য মূলক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা সংবাদ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। পুলিশের পক্ষ থেকে এই মামলার সুষ্ট তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনা হয়। এদিকে ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগম জানান, রাত ৯ টার দিকে আমরা উপর হামলা করেছে। আমি মহিলা মানুষ আমার মানসম্মান বিকিয়ে এই ধরনের নাটক কেন সাজাবো। আমার উপর ঘটে যাওয়া ঘটনা শতভাগ সত্য। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করি প্রশাসের কাছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে আমরা প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মাননীয় আদালতে সুপারিশ করবো।
What's Your Reaction?