সালথায় মাহিন্দ্রা বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মাহিন্দ্রা (থ্রি হুইলার) দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি পঙ্গুত্বের হারও উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অসংখ্য পরিবারকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
এ অবস্থায় সালথা-ফরিদপুর সড়কে স্থায়ীভাবে মাহিন্দ্রা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। একই সঙ্গে, তারা ওই সড়কে পুনরায় বাস চলাচলের দাবিও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের চালতা তলা এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে একই দাবিতে মেম্বার গট্টি এলাকায় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে সালথা-ফরিদপুর সড়কের শোলাকুন্ড মাদ্রাসার সামনে যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রা দুর্ঘটনায় ইদ্রিস হাজরা (৫৫) নামে এক কৃষক মারা যান। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে কৈজুরী ইউনিয়নের কুজুরদিয়া মাদ্রাসার সামনে থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আসমা বেগম (৪০) নিহত হন।
এছাড়া, ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এসকেন্দার আলী মাহিন্দ্রা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
ক্রমবর্ধমান দুর্ঘটনার ফলে সালথা-ফরিদপুর মহাসড়কে মাহিন্দ্রা নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?






