সালথায় ম্যানেজ করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমি ও পাকা সড়ক
ফরিদপুরের সালথায় ফসলি জমি, বসতবাড়ি আবার কোথাও পাকা সড়ক সংলগ্ন জায়গায় অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে রয়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও পাকাসড়ক।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাদিয়া এলাকায় সরকারি কাজলডাঙ্গা বিলে শানাল ও রাসেল, নওপাড়া আজলপট্টি গ্রামে ওবায়দুর ও মাঝারদিয়া গ্রামের মধ্যে হাসমত নামক ব্যক্তিরা নির্বিঘ্নে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কোথাও আবার ড্রেজারে পাইপ টানিয়েছে চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে এবং রাস্তা খুঁড়ে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ দিয়েছে। যেখানে সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার ভাঙন ধরবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এরা সবাই এলাকার প্রভাবশালী ও চিহ্নিত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ি। বর্ষার মৌসুম এলেই এক শ্রেণির মানুষকে ম্যানেজ করে এরা খালে, বিলে, নদীতে, পুকুরে যেখানে সুযোগ পায় অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকে। ফলশ্রুতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি, ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে রাস্তা ব্রীজ এবং বসতবাড়ি। স্থানীয় ভাবে এরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
উল্লেখ্য, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৩(৪) এর (খ) (গ) তে বলা আছে সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সীমানার মধ্যে ও বালু বা মাটি উত্তোলন বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ড্রেজিংয়ের ফলে কোনো নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হয় এমন এলাকা হতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। উক্ত আইনকে তোয়াক্কা না করে এক একটি সিন্ডিকেট নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিচুর রহমান বালি বলেন,আমি ঐখানে বসে থাকবো নাকি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখিত বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রসাশক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্থানের নাম ঠিকানা দেন এখন ব্যবস্থা নিতে বলছি, আর আমার প্রসাশনের কোন লোক জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
What's Your Reaction?