সালথায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হবে সোনালি আঁশ
পাট ও পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। পেঁয়াজ চাষের সময় বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ আর পাটের সৃজনে মাঠ জুড়ে শুধু পাট আর পাট চাষ করে থাকে এই উপজেলার কৃষকেরা। এই অঞ্চলেের ৯০ ভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। তারা বছর জুড়ে উৎপাদন করে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফসল। যারমধ্যে পাট ও পেঁয়াজকে প্রধান অর্থকরী ফসল হিসাবে ধরা হয়।
পাশাপাশি যেখানে পাট ও পেঁয়াজের তেমন উৎপাদন হয় না সেখানে অন্যান্য ফসলও উৎপাদন করে থাকে এখানকার কৃষকেরা। তবে সেটা নেহাৎ কম। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর ১২ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
শনিবার, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকেরা কৃষি উপকরণ নিয়ে পাট ক্ষেত নিড়ানি, পাট বীজ বপন শেষে ক্ষেতে পানি, সার ও কীটনাশক দেওয়া ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। আবার অনেকে পেঁয়াজ উত্তোলনও করছেন।
যে সমস্ত কৃষকেরা আগেভাগেই পেঁয়াজ উত্তোলন করেছিল তাদের ক্ষেতে ইতিমধ্যে পাট গাছের চারা উঁকিঝুঁকিও মারছে। আবার দখিনা বাতাসে দোলও খাচ্ছে। এ যেন কৃষকের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে।
পাট চাষী জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, এবার পেঁয়াজের মধ্যেদিয়ে পাঁচ একর জমিতে পাটের বীজ বপন করেছি। পেঁয়াজ উত্তোলন শেষে পাটের আগাছা পরিস্কার করে পাট বীজ বপন শুরু করেছি। এখন প্রয়োজন পানি, সার ও কীটনাশক। যদিও বৃষ্টি তেমন নাই।
কাইযুম নামে আরেক চাষি বলেন, পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে পাটের বীজ বপন করা হয়েছে। কযেকদিন আবহাওয়া ভালো থাকলে নিচু জমির পাট দ্রুত বেড়ে উঠবে। আর যদি ভারী বর্ষণ হয় তাহলে তলিয়ে যাবে। আপাতত পাটের চারাগাছ সুন্দর আছে।
সালথার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩২০ হেক্টর। অন্যান্য ফসলের চাষ শুরু হওয়ায় পাটচাষের লক্ষমাত্রা কিছু কম হতে পারে। এই অঞ্চলে তোষাপাট জাতের চাহিদা বেশি। এবার ভারতীয় তোষা বীজ বপন করেছে অধিকাংশ চাষি। চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
What's Your Reaction?