সিরাজদিখানে সাংবাদিকের ওপর হামলা

এমএ কাইয়ুম, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জঃ
Apr 24, 2025 - 17:42
 0  81
সিরাজদিখানে সাংবাদিকের ওপর হামলা

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া গ্রামে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শাহজালাল খান ওরফে ‘পান কবিরাজ’সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান জানান, বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালাল খান ও তার সহযোগীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন।

আনিসুর রহমান বলেন, “আমি শাহজালাল পান কবিরাজের অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সেই থেকেই তিনি আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন নিমতলায় একটি সংবাদ সংগ্রহ শেষে ফেরার সময় তার লোকজন হামলা চালায়।”

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান  মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-২ এ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত শারমিনের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) ফরিদ হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রশুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহজালাল খান আগে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে সময় মিটার সংযোগ দেওয়ার নামে গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে 'পান কবিরাজ' পরিচয়ে কবিরাজি চিকিৎসা ও জ্বিন ছাড়ানোর নামে অপচিকিৎসায় জড়ান। তার বিরুদ্ধে নারীদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার নামে অশালীন কর্মকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একসময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তার আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তিনি আবারও কার্যক্রম শুরু করেন। এর আগে সিরাজদিখান থানায় একটি ল্যাপটপ উপহার দেওয়ার ঘটনায়ও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে শাহজালাল খান পান কবিরাজ বলেন, “আমি কোনো অপচিকিৎসা বা অনৈতিক কাজ করি না। সাংবাদিককেও মারধর করিনি। থানায় ল্যাপটপ দিয়েছি কারণ সার্কেল এসপি সেটি চেয়েছিলেন। সামনে আমি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হবো, তাই দিয়েছি।”

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, “আমার থানা গত ৫ আগস্ট আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর শাহজালাল খান একটি ল্যাপটপ থানায় দিয়ে যান। তবে সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow