সুবর্ণচরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে হারিয়ে এমপির পুত্রের জয়
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রাত ১০টায় রিটার্নিং অফিসার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম তাকে (সাবাব চৌধুরী) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আনারস প্রতীক নিয়ে সাবাব চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএমএ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫।
বিজয়ী প্রার্থীর সাথে পরাজিত প্রার্থীর ভোটর ব্যবধান রয়েছে ৭০৩ ভোট।
ফলাফল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম বলেন, আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৬ হাজার ৯৪৫টি ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ আনারস প্রতীকে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী ৭০৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আতাহার ইসরাক সাবাব চৌধুরী বলেন, প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ভোটাররা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন তাই তাদের প্রতি চীর কৃতজ্ঞ। আমার স্বপ্ন ছিল সুবর্ণচরের উন্নয়ন, সেই স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সুবর্ণচর স্মার্ট উপজেলা হবে। যেহেতু ভোটের ব্যবধান কম তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রার্থীকে নিয়ে উন্নয়ন কাজ করবো। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের মর্যাদার লড়াই চলে।
এর আগে সকাল সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে।
৮ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় টানা তিন বারের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিমের সাথে এবার ভোটের লড়াইয়ে নামেন নোয়াখালী ৪ (সদর -সুবর্ণচর) আসনে টানা চার বারের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী। নবীন প্রবীন এ দুই প্রার্থীকে নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে জেলাজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
What's Your Reaction?