সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পিরোজপুরের দুটি উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

মোঃ নাজমুল হোসেন,জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুরঃ
Mar 30, 2025 - 14:25
 0  2
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পিরোজপুরের দুটি উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পিরোজপুরের নাজিরপুর ও কাউখালী উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলার ৭নং শেখ মাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন অর্ধশতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা এই ঈদ জামাতে অংশ নেন। এরপর দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৭:৫০টায় রঘুনাথপুরের খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন আল-আমিন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই ঈদ জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে বলে নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান। জামাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা মোঃ কামরুজ্জামান।

মুসল্লিরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সবাই একসঙ্গে একই দিনে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে, এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা বাগেরহাট থেকেও মানুষ এখানে নামাজ পড়তে আসেন।

ঐ মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, "সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা রোজা শুরু করেছিলাম, তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি। আমরা দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের একই দিনে রোজা ও ঈদ পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।"

ঐ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি হুমায়ুন কবির বলেন, "আমরা মূলত চাঁদ দেখে রোজা রাখি এবং ঈদ পালন করি। পৃথিবী একটি এবং চাঁদও একটি, এ কারণে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার সংবাদ পেলেই আমরা রোজা রাখি ও ঈদ উদযাপন করি।"

এছাড়া, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায়ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মোল্লাবাড়ি এলাকায় রোববার সকাল ৮:০০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের এই ধারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান রয়েছে। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন মোঃ জহিরুল ইসলাম।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার একটি অংশের মুসল্লিরা শিয়ালকাঠির এই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদ পালনের বিষয়টি তাদের নিজস্ব বিশ্বাসের অংশ বলে উল্লেখ করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow