স্কুল ভবন নির্মাণে কঠিন চ্যালেঞ্জে মূখে সংশ্লিষ্ঠরা
বান্দরবানের থানচি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জনবলের স্বল্পতা। উপজেলায় দুর্গম অঞ্চলে সশস্ত্র বিচ্ছিনতাবাধী গোষ্ঠী কুকিচিং ও দুর্বৃত্তকারীদের নির্মূলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান পরিচালনার জন্য পাড়াবাসী ব্যতিত সকলের গমদের উপর অব্যাহতভাবে দফায় দফায় চূড়ান্ত পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সব কারণে পাহাড়ী দূর্গম এলাকায় নির্মান শ্রমিক-মিস্ত্রী একটানা ১০/১৫ দিনের বেশী অবস্থান করা কোনভাবেই সম্ভব না হওয়ার এবং এই সব এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ তদারকীতে রয়েছে বিভিন্ন ঝুঁকি। এতো সব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাহাড়ী ডিজাইনের ১৪টি এবং পাকা ভবন ৬ টি।
এর মধ্যে ১১টি পাহাড়ি ডিজাইনের স্কুল এবং ০১টি পাকা ভবন স্কুলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাকি ৪টি ভবন নির্মানের কঠিন চ্যালেঞ্জে মূখে পড়েছে বলে বুধবার ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় পরিষদের মিলনায়তনের অনুষ্ঠিত উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভাকে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী এমদাদুল হক।
তিনি সভাকে অবহিত করেন, দুর্গম পাহাড়ে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অবকাঠামোগত নির্মান কাজের বাস্তবায়ন করতে হয়।থানচি উপজেলার নির্মান সামগ্রী মালামালের দুষ্প্রাপ্যতা,উচ্চ মূল্য,দক্ষ শ্রমিক ও মিস্ত্রি অভাব,পরিবহনের সীমাহীন দুর্ভোগ,শুকনো মৌসুমের সাংগু নদীর পানির চরম সংকট, অশান্ত পরিস্থিতির ও প্রতিকুল অবস্থা, নির্মানাধীন স্থলের শ্রমিক,মিস্ত্রি,ঠিকাদার লোকজন অবস্থান না করার, অধিদপ্তরের তদারকিতে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের যাতাযাতের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা মধ্যে ও গত দুই অর্থ বছরে
হামাজন পাড়া, দলিয়ান পাড়া ও বোডিং পাড়া,ছাংয়ান পাড়া বিদ্যালয় ভবন নির্মানে লেয়র বসানো পর্যন্ত সম্ভব হয় নি। ছাংয়ান পাড়া এ পর্যন্ত ৩ বার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে ও কোন ঠিকাদার অংশ না নেয়ায় সরকারীভাবে সমপরিমান বরাদ্ধকৃত অর্থ ফেরত চলে যাচ্ছে।
অনেক ত্যাগের বিনিময়ের ওয়াকচাকু পাড়া, নারিকেল পাড়া, সাকখয় কমান্ডার পাড়া, থংএ বুসিং পাড়ার সমূহের স্কুল ভবন নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে হওয়ায় ডিসেম্বর/২৪ এর মধ্যে হস্তান্তর করার আশা প্রকাশ করেছেন।
মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা ৪ ইউনিয়ন পরিষদসহ ২৬ টি সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের দাপ্তরিক প্রধানরা উপস্থিত থেকে দাপ্তরিক কার্যক্রমে সম্ভাবনা সমস্য সমাধানের কথা বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাকিব হাসান চৌধুরী সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের কর্মকর্তা ডা:ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ, থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মজুমদার,উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এমদাদুল হক,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও মসফিকুর রহমান,শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন মোহাম্মদ প্রমূখ।
What's Your Reaction?