স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে মানবিক কাজে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্জয় ভৌমিক
৩ ভাই এর মধ্যে দুর্জয় ভৌমিক মেজো। মা বাবার খুবই ভরসা করা ছেলে। তারা ভাবতেন একসময় তাদের মুখে হাসি ফুটাবে সে। সব সময় তাকে অনুপ্রেরণা জোগাতেন তারা। নোয়াখালীর মাইজদীর গুপ্তাংক ৫নং ওয়ার্ডে ২০০২ সালে জন্ম গ্রহন করেন দুর্জয় ভৌমিক। বর্তমানে তিনি বিএসসি ইন টেক্সটাইলে অধ্যায়নকৃত আছে৷ পেশায় একজন টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ার। তার কাজে যাএা শুরু করে ২০২০ সাল থেকে। সময় টা ছিল করোনা কালীন৷ কোভিড ১৯ এ যখন বাসা থেকে সকলে বের হওয়া বন্ধ , অবসর সময় যাচ্ছিলো ঠিক তখন, অনলাইন প্লাটফর্মে দেখতে পায়, রক্তের প্রয়োজন কিছু সংখ্যাক মানুষের৷ মনে হলো একটা যাএা শুরু করা যাক, তখনই একটা অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে চলমান রেখেছে মানব সেবায়। ৩বছর রক্তদান নিয়ে কাজ করার পর কর্মব্যস্ততা ও শিক্ষাজীবনের কারনে রক্তদান কাজটি কমিয়ে দিয়ে ভিন্নতর উদ্যোগে মানুষের পাশে দাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ১লা অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করেন " টিম অব ভলেন্টিয়ার" সংগঠন। যা আজ শুধু অনলাইন না, মাঠ পর্যায়ে সফল করেছে ৫০ এর ও অধিক কার্যক্রম৷
ছুটে চলেছে এখনো মানবিক সেবায়, যখনই কোন জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের সাহায্য কিংবা থ্যালাসেমিয়া রোগীর সাহায্যের রিকুয়েষ্ট আসে তখনই চেষ্টা চলমান রাখে কিভাবে তার দুঃখের সামিল হতে পারে।
তিনি প্রতিবেদক কে বলেন- মানুষ টা ছোট খাটো হলে ও বুদ্ধি বিবেচনা করে কাজ করার চেষ্টা করি , উচ্চতা, চেহারা রং এগুলো নিয়ে চিন্তিত হয় নাই। সন্মান করে চলি সকল সহযোদ্ধা সহ সকল সেচ্ছাসেবী এবং সিনিয়রদের।
তিনি আরো বলেন- বয়স কম হলে ও তারপর অনেকের মানবিক কাজের অনুপ্রেরণা হয়েছি৷ সফলতা কি জানি না, তবে এটা মানি সফলতার কোন দাড়ি হয় না, শুধু কমা মাএ। বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছি থ্যালাসেমিয়া রোগী ও গ্রিন ইকো পেন নিয়ে, চাই এ প্রিয় জেলা নোয়াখালীর সকল থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কিছু করবো, করবো তাদের পরিবারের জন্য, হবো তাদের এ জীবন যুদ্ধের সঙ্গী। একই সাথে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে কাগজের ব্যবহারের লক্ষ্যে সকল জায়গায় পৌছে দিব গ্রিন ইকো পেন বিনামূল্যে।
শুরু টা আসলে মনে রাখার ছিল, পাই নি কারো সাহায্য, করেছি অনেক ধৈর্য্য, হয়েছি নানা অপমান, কিন্তু থেমে থাকি নি কখনো। চাওয়া একটাই সকলে মিলে এমন কিছু করার যেন, শুধু নোয়াখালী না দেশের সকল জেলায় গ্রিন ইকো পেন ব্যবহার শুরু হোক আর নোয়াখালী তে একটি থ্যালাসেমিয়া কর্ণার হোক।
সব সময় সকল কে সন্মান, শ্রদ্ধা দিয়ে চলেছি, আগামীতে ও চলবো এবং দেশ ও জাতির জন্য কাজ করবো, নিজের উদ্যোগ এ নিজের আত্নবিশ্বাসে।
আর টিম অব ভলেন্টিয়ার সকল সদস্য, সহযোদ্ধাদের সাপোর্টই আমার প্রত্যাহিক জীবনে সব থেকে বড় সাপোর্ট । তারা পাশে থাকলে সকল কিছু জয় করা সম্ভব আমি একান্ত মনে করি, প্রতিটি ভাই-বোন যেন এক এক জন অনুপ্রেরণা তারা৷ শুধু ভালো সময় না, খারাপ টায় ও সবার আগে পাশে ছিল তারা। আমার সহযোদ্ধারা ছাড়া আমি কিছু নই, তারা আছে বলে প্রজেক্ট গুলো সফল করার সাহস পাই৷
What's Your Reaction?