হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে পুনরায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করার দাবি

মাহবুবুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার
Feb 4, 2025 - 21:21
 0  4
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে পুনরায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করার দাবি

তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তনের পূর্বেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে পুনরায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণের দাবি তুলেছেন বিএনপির নেতা মোঃ মোস্তফা জামান। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির থানা সমূহের কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে বিমানবন্দর বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল কর্মশালার আয়োজন করা হয়।কর্মশালায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এই দাবি করলেন। তিনি তার বক্তব্য বলেন ফ্যাসিস্ট খুনি স্বৈরাচারী হাসিনা অন্যায় ভাবে ও হিংসারবশবর্তী হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে থাকা জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাখেন। শুধুমাত্র জিয়া পরিবারের প্রতি তার হিংসার বহিঃপ্রকাশই এর কারণ। কিন্তু আমরা চাই তারেক রহমান এই দেশের মাটিতে ফেরার আগে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। 

সভাপতিত্ব করেন মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া, আহ্বায়ক, বিমানবন্দর থানা বিএনপি-ঢাকা মহানগর উত্তর।

সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু, ১ নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বিমানবন্দর, বিএনপি-ঢাকা।

সভাপতি বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে এই ৩১ দফা সম্পর্কে বুঝাতে হবে। আওয়ামী লীগ বিগত দিনগুলোতে যা করেছে তা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে।  আওয়ামী লীগের দোসরা বিভিন্ন স্থানে বিএনপি'র নামে চাঁদাবাজি করছে,  কিছু কিছু স্থানে বিএনপি লোকদেরও সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া যাচ্ছে।  মনে রাখবেন বিএনপি দলে চাঁদাবাজ মাদক কারবারীর স্থান হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান বাইরে থেকেও সব কিছু তদারকি করছেন।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এখানে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। যাদের টাকা রয়েছে তারা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চলে যায়। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষ তো আর বাইরে চিকিৎসা করাতে যেতে পারে না। এরমধ্যে যে কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে সেখানে চিকিৎসা করানোর অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও তাদের নেই। তাদের সুচিকিৎসা দেবার কথাও এই ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 
তিনি বলেন এই একত্রিশ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশ এক নতুন দিগন্তে পৌঁছবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহ্দী আমিন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোস্তফা জামান, সদস্য সচিব, বিএনপি-ঢাকা মহানগর উত্তর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুগ্ম আহ্বায়ক, বিএনপি-ঢাকা মহানগর উত্তর।

বিশেষ অতিথি মোঃ আক্তার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক, বিএনপি-ঢাকা মহানগর উত্তর (টিম লিডার উত্তরা জোন)।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow